বাংলা ভাষা ও ব্যাকরণ
১। ধ্বনিতত্ত্বের ( Phonology) আলোচ্য বিষয়- ধ্বনি ও বর্ণ, ণ – ত্ব ও ষ – ত্ব বিধান, ধ্বনির পরিবর্তন ।
২। শব্দতত্ত্বের ( রূপতত্ত্ব – Morphology ) আলোচ্য বিষয় – শব্দ, প্রত্যয়, উপসর্গ – অনুসর্গ, লিঙ্গ, সমাস ও বচন।
৩। বাক্যতত্ত্বের ( পদক্রম – Syntax) আলোচ্য বিষয় – কারক,বিভক্তি,বাক্য, বাক্য সংকোচন, বিরাম চিহ্ন, পদবিন্যাস।
৪। অর্থতত্ত্ব ( Semantics ) এর আলোচ্য বিষয় – বাগধার, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ ও শব্দের অর্থ বিচার।
৫। ভাষার মূল উপাদান বা ক্ষুদ্রতম একক – ধ্বনি।
৬। শব্দের একক বা ক্ষুদ্রতম অংশ – ধ্বনি।
৬। বাক্যের মৌলিক একক বা ক্ষুদতম একক – শব্দ।
৭। ভাষার মুল উপকরণ – বাক্য।
৮। বর্তমানে ভাষার সংখ্যা – ৩৫০০ এর বেশি।
৯। ভাষার রূপ – দুটি।
১০। ভাষাকে কিসের সাথে তুলনা করা হয় – প্রবাহমান নদী।
১১। ভাষার মৌলিক অংশ – ৪ টি।
১২। বাংলা ভাষা কোন ভাষার অন্তর্গত – ইন্দো – ইউরোপীয়।
১৩। কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষার সৃষ্টি হয়েছে – বঙ্গ কামরূপী।
১৪।বাংলা ভাষার মূল উৎস হচ্ছে – প্রাকৃত ভাষা।
১৫। মাতৃভাষা বিবেচনায় বাংলা ভাষার অবস্থান – ৫ম ( বোর্ড বইয়ে ৬ষ্ঠ )
১৬। বাংলা আদি অধিবাসীগণ কোন ভাষাভাষী ছিল ? – অস্ট্রিক।
১৭। ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলা ভাষার অবস্থান – সপ্তম।
১৮। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন – চর্যাপদ।
১৯। আঞ্চলিক ভাষার অপর নাম – উপভাষা ।
২০। বাংলা লিপির উৎস – ব্রাহ্মী লিপি।
২১। বাংলা ভাষার বয়স ১০০০ বছর ও প্রায় ৩০ কোটি লোকের ভাষা বাংলা।
২২। মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, ৬৫০ খ্রি বা সপ্তম শতাব্দীতে গৌড়ীয় প্রাকৃত বা এর পরিবর্তিত রূপ গৌড়ীয় অপভ্রংশ থেকে বাংলা ভাষার সৃষ্টি হয়েছে।
২৩। বাংলা ব্যাকরণ প্রথম রচনা করেন- এন. বি. হ্যালহেড
২৪। প্রথম কোন বাঙালি বাংলা ভাষার ব্যাকরণ রচনা করেন ? – রাজা রামমোহন রায়।
২৫। গৌড়ীয় বাংলা ব্যাকরণ ” রচনা করেছেন – রাজা রামমোহন রায়।
২৬। “ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ” রচনা করেন – সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
২৭। ” ব্যাকরণ মঞ্জরী ও মনীষা মঞ্জুষা ” রচনা করেন – ড.মুহম্মদনএনামুল হক।
২৮। বাংলা লিপির গঠন কার্য শুরু হয় – সেন আমলে।
২৯। “বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত” কার রচনা – মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ।
৩০। চলিত রীতির প্রবর্তক – প্রমথ চৌধুরী।
৩১। সাধু রীতি নাম করণ করেন – রাজা রামমোহন রায়।
৩২। বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন – ম্যানুয়েল দ্যা আসসুম্পসাউ ।
সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্যঃ
ক) সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদের পূর্ণাঙ্গ রূপ। যেমন : করিয়াছি।
খ) সাধু ভাষায় সর্বনাম পদের পূর্ণাঙ্গ রূপ। যেমন: তাহারা।
গ) সাধু ভাষায় অনুসর্গের পূর্ণরূপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন: হইতে, দিয়া প্রভৃতি।
ঘ) সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের (সংস্কৃত শব্দ) প্রয়োগ বেশি। যেমন: হস্ত, মস্তক, ঘৃত, ধৌত।
ঙ) সাধু ভাষা বক্তৃতা ও নাট্য সংলাপের অনুপযোগী ও গুরুগম্ভীর।
চলিত ভাষার বৈশিষ্ট্যঃ-
ক) চলিত ভাষায় ক্রিয়াপদের রূপ সংক্ষিপ্ত, যেমন : করেছি ।
খ) চলিত ভাষায় সর্বনাম পদের রূপ সংক্ষিপ্ত, যেমন তারা ।
গ) চলিত ভাষায় অর্ধ-তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি প্রভৃতি শব্দের ব্যবহার বেশি। যেমন : ঘি, হাত, ধোয়া, মাথা ।
ঘ) সাধু ভাষা বক্তৃতা ও নাট্য সংলাপের উপযোগী।
৩৩। সাধু ও চলিত ভাষার অভিন্ন রুপ – অব্যয়।
৩৪। ” বঙ্গভাষা ও সাহিত্য ” রচনা করেন – ড. দীনেশচন্দ্র সেন ।
৩৫। পক্ষী,বন্য, জুতা, নিমিত্ত, হস্ত, অগ্নি, যদ্যপি, তথাপি ও অদ্য এর চলিত রুপ যযথাক্রমে – পাখি, বুনো, জুতো, জন্য, হাত, আগুন, যদিও, তবুও ও আজ।
৩৬। ব্যাকরণ ‘ শব্দের সঠিক অর্থ – বিশেষভাবে বিশ্লেষণ।
৩৭। ব্যাকরণ – বি + আ + কৃ + অন
বাক্য শুদ্ধিকরণ
১। অপব্যায় একটি মারাত্মক ব্যাধি – অপব্যয় একটি মারাত্মক অভ্যাস।
২। অল্প দিনের মধ্যে তিনি আরোগ্য হলেন – অল্প দিনের মধ্যে তিনি আরোগ্য লাভ করলেন।
৩। অশ্রুজলে বুক ভেসে গেল – অশ্রুতে বুক ভেসে গেল।
৪। অপমান হবার ভয় নেই – অপমানিত হবার ভয় নেই।
৫। অধ্যাপনাই ছাত্রদের তপস্যা – অধ্যয়নই ছাত্রদের তপস্যা।
৬। অপরাহ্ন লিখতে অনেকেই ভূল করে – অপরাহ্ণ ( হ+ণ) লিখতে অনেকেই ভুল করে৷
৭। অন্নাভাবে প্রতি ঘরে ঘরে হাহাকার – অন্নাভাবে প্রতি ঘরে হাহাকার।
৮। অন্যায়ের ফল দুর্নিবার্য – অন্যায়ের ফল অনিবার্য।
৯। আবশ্যকীয় ব্যয়ে কার্পণ্যতা অনুচিৎ – আবশ্যক ব্যয়ে কৃপণতা অনুচিত।
১০। আমার আর বাঁচিবার স্বাদ নেই – আমার আর বাঁচার সাধ নেই।
১১। আমৃত্যু পর্যন্ত দেশের সেবা করে যাব – আমৃত্যু দেশের সেবা করে যাব।
১২। আমার কথাই শেষ পর্যন্ত প্রমাণ হলো – আমার কথাই শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হলো।
১৩। আমরা তার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি – আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
১৪। আমার টাকার আবশ্যক নাই – আমার টাকার আবশ্যকতা নাই।
১৫। আকণ্ঠ পর্যন্ত ভোজনে স্বাস্থ হানী ঘটে – আকণ্ঠ ভোজনে স্বাস্থ্যহানি ঘটে।
১৬। আমি এ ঘটনা চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করেছি – আমি এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি।
১৭। আমি গীতাঞ্জলী পড়েছি – আমি গীতাঞ্জলি পড়েছি।
১৮। আমি সাক্ষি দিব না – আমি সাক্ষ্য দেব না।
১৯। এ কথা প্রমাণ হয়েছে – এ কথা প্রমাণিত হয়েছে।
২০। এখানে প্রবেশ নিষেধ – এখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
২১। এটা লজ্জাস্কর ব্যাপার – এটা লজ্জাকর ব্যাপার।
২২। কালীদাস বিখ্যাত কবি – কালিদাস বিখ্যাত কবি।
২৩। এখানে খাঁটি গরুর দুধ পাওয়া যায় – এখানে গোরুর খাঁটি দুধ পাওয়া যায়।
২৪। কারো দৈন্যতা নিয়ে পরিহাস করো না – কারো দীনতা নিয়ে পরিহাস করো না।
২৫। কীর্তিবাস বাংলা রামায়ন লিখেছেন – কৃত্তিবাস বাংলা রামায়ণ লিখেছেন।
২৬। গীতাঞ্জলী একখানা কাব্যগ্রন্থ – গীতাঞ্জলি একখানি কাব্যগ্রন্থ।
২৭। ছেলেটি ভয়ানক মেধাবী – ছেলেটি অত্যন্ত মেধাবী।
২৮। তিনি আরোগ্য হয়েছেন – তিনি আরোগ্য লাভ করেছেন।
৩০। ইকবাল সাহেব স্বপরিবারে ঢাকায় থাকেন – ইকবাল সাহেব সপরিবারে ঢাকায় থাকেন।
৩১। তার সৌজন্যতায় মুগ্ধ হলাম – তার সৌজন্যে মুগ্ধ হলাম।
৩২। তাহারা বাড়ি যাচ্চে- তারা বাড়ি যাচ্ছে।
৩৩। দশচক্রে ঈশ্বর ভূত – দশচক্রে ভগমান ভূত।
৩৪। দারিদ্র্যতা আমাদের অভিশাপ – দারিদ্র্য আমাদের অভিশাপ।
৩৫। বাংলাদেশ একটি উন্নতশীল রাষ্ট্র – বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র।
৩৬। বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধশালী দেশ – বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ দেশ।
৩৭। মেয়েটি বিদ্যান কিন্তু ঝগড়াটে – মেয়েটি বিদুষী কিন্তু ঝগড়াটে।
৩৮। মেয়েটি বুদ্ধিমান – মেয়েটি বুদ্ধিমতি।
৩৯। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করবো – শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেব।
৪০। সব পাখিরা উড়ে গেল – সব পাখি উড়ে গেল।
৪১। সব পাখিরা নীড় বাধে না – সব পাখি নীড় বাঁধে না।
৪২। সব ছাত্ররা উপস্থিত আছে – সব ছাত্র উপস্থিত।
৪৩। সূর্য উদয় হয়েছে – সূর্য উদিত হয়েছে।
৪৪। বিধি লঙ্ঘন হয়েছে – বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।
৪৫। বিরাট গরু – ছাগলের হাত – গরু ছাগলের বিরাট হাট।
৪৬। বিদ্যান মূর্খ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর – বিদ্বান মূর্খ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
৪৭। বিদ্যাণকে সকলে শ্রদ্ধা করে – বিদ্বানকে সকলে শ্রদ্ধা করে।
৪৮। পাহাড়ের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যতা আমাদের মুগ্ধ করে – পাহাড়ের প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য আমাদের মুগ্ধ করে।
৪৯। ছেলেটি বুদ্ধিমতি – ছেলেটি বুদ্ধিমান।
৫০। আপনি স্বপরিবরে আমন্ত্রিত – আপনি সপরিবারে আমন্ত্রিত।
৫১। ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা মহত্বের লক্ষণ – ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা মহত্ত্বের লক্ষণ।
৫২। জাপানে স্বাক্ষরতার হার শ-এর কাছাকাছি – জাপানে সাক্ষরতার হার শ-এর কাছাকাছি।
৫৩। আমি সন্তোষ হলাম – আমি সন্তুষ্ট হলাম৷
৫৪। তাহার জীবন সংশয়পুর্ণ – তাহার জীবন সংশয়ময়।
৫৫। আমি, তুমি ও সে কাল বইমেলায় যাব- তুমি, সে ও আমি কাল বইমেলায় যাব।
৫৬। আমার বড় দুরাবস্থা – আমার বড় দুরবস্থা ।
৫৭। তার সৌজন্যতায় আমি সুযোগটি পেয়েছি – তার সৌজন্যে আমি সুযোগটি পেয়েছি ।
বানান
অধ্যায়ন – অধ্যয়ন
অত্যান্ত – অত্যন্ত
অতিথী – অতিথি
অহরাত্রি – অহোরাত্র
অপরাহ্ন – অপরাহ্ণ ( হ + ণ)
অনুসূয়া – অনসূয়া
আকাংখা – আকাঙ্ক্ষা
আইনজীবি – আইনজীবী
আবিস্কার – আবিষ্কার
ইতিপূর্বে – ইতঃপূর্বে
ইতিমধ্যে – ইতোমধ্যে
ইংরেজী – ইংরেজি
উপযোগীতা – উপযোগিতা
উপরোক্ত – উপর্যুক্ত / উপরিউক্ত
উচ্ছাস – উচ্ছ্বাস
উদীচি – উদীচী
ঐক্যতান – ঐকতান
ঐক্যমত – ঐকমত্য
ঔজ্জল্য – ঔজ্জ্বল্য
কর্মজীবি – কর্মজীবি
কর্ণেল – কর্নেল
কার্য্যালয় – কার্যালয়
কৃতিবাস – কৃত্তিবাস
কূপমন্ডুক – কূপমণ্ডূক
কুজ্জটিকা – কুজ্জ্বটিকা
গীতাঞ্জলী – গীতাঞ্জলি
চতুস্কোন – চতুষ্কোণ
জোৎস্না – জ্যোৎস্না
দারিদ্রতা – দরিদ্রতা / দারিদ্র্য
দূরাবস্থা – দুরবস্থা
দৈন্যতা – দৈন্য / দীনতা
দুষীত – দূষিত
দিবারাত্রি – দিবারাত্রি
দুর্বিসহ – দুর্বিষহ
দুঃস্ত – দুস্থ
নুপুর – নূপুর
নুন্যতম – নূন্যতম
নিশিথিনি – নিশীথিনী
পরিস্কার – পরিষ্কার
প্রতিযোগীতা – প্রতিযোগিতা
প্রানিবিদ্যা – প্রাণিবিদ্যা
পিপিলিকা – পিপীলিকা
পোস্টমাষ্টার – পোস্টমাস্টার
পানিনি – পাণিনি
প্রনয়ন – প্রণয়ন
প্রতিদ্বন্দ্বীতা – প্রতিদ্বন্দ্বিতা
প্রত্যুশ – প্রত্যুষ
প্রানি জগত – প্রাণিজগৎ
পৈত্রিক – পৈতৃক
প্রাতঃরাশ – প্রাতরাশ
প্রোজ্জলন – প্রোজ্জ্বলন
ফটোষ্ঠ্যাট – ফটোস্ট্যাট
বুদ্ধিজীবি – বুদ্ধিজীবী
বহিস্কার – বহিষ্কার
বিভিশিকা – বিভীষিকা
ব্যায় – ব্যয়
ব্রাহ্মন – ব্রাহ্মণ
বিদুসি – বিদুষী
বাল্মিকি – বাল্মীকি
ব্যাতীত – ব্যতীত
বহিঃস্কার – বহিষ্কার
বানিজ্য – বাণিজ্য
বৈয়াকরণিক – বৈয়াকরণ
ভাষন – ভাষণ
ভুবণ – ভুবন
মনকষ্ট – মনঃকষ্ট
মনযোগ – মনোযোগ
মুহুর্ত – মুহূর্ত
মুমুর্ষ – মুমূর্ষু
মনিষি – মনীষী
মরিচিকা – মরীচিকা
মনোপুত – মনঃপূত
মন্ত্রীসভা – মন্ত্রীসভা
মুহূর্মুহূ – মুমুর্মুহু
মুর্ছনা – মূর্চ্ছনা
মহত্ব – মহত্ত্ব
রেজিষ্ট্রেশন – রেজিস্ট্রেশন
রামায়ন – রামায়ণ
লজ্জাস্কর – লজ্জাকর
সমিচিন – সমীচীন
শ্রদ্ধাঞ্জলী – শ্রদ্ধাঞ্জলি
সান্তনা – সান্ত্বনা
শশ্রুসা – শুশ্রূষা ( ঊ – কার )
শিরচ্ছেদ – শিরশ্ছেদ
শারিরিক – শারীরিক
সমিরন – সমীরণ
শ্বাশত – শাশ্বত
ষান্মাসিক – ষাণ্মাষিক
ষ্টেডিয়াম – স্টেডিয়াম
সহকারি – সহকারী
সন্যাসি – সন্ন্যাসী
স্বস্ত্রিক – সস্ত্রীক
সহযোগীতা – সহযোগিতা
স্বরস্বতি – সরস্বতী
সাতন্ত্র – স্বাতন্ত্র্য
স্বার্থকতা – সার্থকতা
সম্বর্ধনা – সংবর্ধনা
স্নহাশীষ – স্নেহাশিস
স্বাক্ষরতা – সাক্ষরতা
স্বত্তাধিকার – স্বত্বাধিকার
স্বত্ত্বা – সত্তা
সংস্কৃতিক – সাংস্কৃতিক
স্যাতসেতে – স্যাঁতসেঁতে
সহপাটি – সহপাঠী
সর্বাংগিন – সর্বাঙ্গীণ
সার্থত্যাগ – স্বার্থত্যাগ
হীনমন্যতা – হীনম্মন্যতা
আরো কিছু বানান
ত্রিভূজ – ত্রিভুজ
স্বায়ত্তশাশন – স্বায়ত্তশাসন
সুচিস্মিতা – শুচিস্মিতা
গননা – গণনা
পাষান – পাষাণ
উৎকর্স – উৎকর্ষ
শোনিত – শোণিত
প্রত্যুস – প্রত্যুষ
সতস্ফুর্ত – স্বতঃস্ফূর্ত
গৃহিনি – গৃহিণী
দধীচী – দধীচি
অন্নেষন – অন্বেষণ
পোষাক – পোশাক
মধূসুধন – মধুসূদন
সংসপ্তক – সংশপ্তক
উর্মি – ঊর্মি
চক্ষুস্মান – চক্ষুষ্মান
গোধুলি – গোধূলি
সরিসৃপ – সরীসৃপ
দুষন – দূষণ
গোন – গৌণ
ভোগোলিক – ভৌগোলিক
বনষ্পতি – বনস্পতি
বুৎপত্তি – ব্যুৎপত্তি
ভষ্ম – ভস্ম
সরনি – সরণি
মধ্যাহ্ণ – মধ্যাহ্ন ( হ + ন)
পূর্বাহ্ন – পুর্বাহ্ণ ( হ + ণ)
মহত্ত – মহত্ত্ব
বিপণী – বিপণি
প্রেষন – প্রেষণ
তিতীক্ষা – তিতিক্ষা
লক্ষ্যনীয় – লক্ষণীয়
পুরান – পুরাণ
সম্বাসন – সম্ভাষণ
স্বপক্ষে – সপক্ষে
মহিয়সি – মহীয়সী
লক্ষমাত্রা – লক্ষ্যমাত্রা
পাসান – পাষাণ
পন্য – পণ্য
তোরন – তোরণ
আপুস – আপোষ
কুটনীতি – কূটনীতি
উচ্চল – উচ্ছল
অহঃরহ – অহরহ
অনুকুল – অনুকূল
অন্তসত্তা – অন্তঃসত্ত্বা
উদ্বিঘ্ন – উদ্বিগ্ন
আভ্যন্তরীণ – অভ্যন্তরীণ
অতিস্ট – অতিষ্ট
উল্লেখিত – উল্লিখিত
গার্হস্থ – গার্হস্থ্য
কল্যান – কল্যাণ
জিবিকা – জীবিকা
উত্তরন – উত্তরণ
ঝুকিপূর্ন – ঝুকিপূর্ণ
নিক্কন – নিক্বণ
প্রতিকি – প্রতীকী
প্রাইমারী পরীক্ষায় আসা অতি গুরুত্বপূর্ণ শুদ্ধ বানান
মুমূর্ষু , বিভীষিকা, সমীচীন, আসক্তি, গৃহস্থ, ত্রিভুজ, গণনা, গণিকা, শোণিত, ঝঞ্ঝাট, গৃহিণী, অভ্যন্তরীণ, ঔজ্জ্বল্য, দূরীভূত, রীতিনীতি, কনিষ্ঠ, সৌজন্য, আদ্যাক্ষর, নিশীথিনী, বুদ্ধিজীবী, ভবিষ্যৎ, অসমীচীন, মন্ত্রিপরিষদ, শ্রদ্ধাঞ্জলি, স্বায়ত্তশাসন, মুহূর্ত, দধীচি, জন্মবার্ষিক, প্রত্যুষ, মূঢ়, চরিত্র, নিরীহ, উন্মীলন, ছান্দসিক, মুহুর্মুহু, দূষণীয়, অহংকার বা অহঙ্কার, নির্মীলিত, শিরশ্ছেদ, পসারিণী, মধ্যাহ্ন, কৃষিজীবী, ষাণ্মাসিক, ঔদ্ধত্য, প্রণয়িনী, সদ্যোজাত, সরীসৃপ, ভাগীরথী, গণনা, গৃহিণী, আনুষঙ্গিক, নিরীক্ষণ, অন্বেষণ, মরীচিকা, শশশিভূষণ, ক্ষীণজীবী, জ্ঞানভূষিত, সংকীর্ণমনা, রৌদ্রকরোজ্জ্বল, যৌবন সূর্য, জবা কুসুম, তিমির বিদারী, শারীরিক, প্রণিপাত, প্রাণিবিদ্যা, স্বতঃস্ফূর্ত, মরূদ্যান, ঐন্দ্রজালিক, নির্নিমেষ।
সন্ধি
১. কোনটির নিয়ম অনুসারে সন্ধি হয় না?
ক) কুলটা
খ) গায়ক
গ) পশ্বধম
ঘ) নদ্যম্বু
সঠিক উত্তর: (ক)
২. কোনটি ব্যঞ্জনধ্বনি + স্বরধ্বনির সন্ধি?
ক) একচ্ছত্র
খ) পবিত্র
গ) দিগন্ত
ঘ) সজ্জন
সঠিক উত্তর: (গ)
৩. ‘অত্যন্ত’ এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক) অত্য + অন্ত
খ) অতি + অন্ত্য
গ) অতি + ন্ত
ঘ) অতি + অন্ত
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৪. ‘তন্বী’ শব্দের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কী?
ক) তনু + ঈ
খ) তনু + ই
গ) তন্বী + ঈ
ঘ) তনী + ব
সঠিক উত্তর: (ক)
৫. ‘সদা + এব’ এর সঠিক সন্ধি হলো –
ক) সর্বদা
খ) সর্বত্র
গ) সদৈব
ঘ) সর্বৈব
সঠিক উত্তর: (গ)
৬. ‘গায়ক’ – এর সন্ধি কোনটি?
ক) গা + ওক
খ) গা + অক
গ) গা + য়ক
ঘ) গৈ + অক
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৭. ‘নাত + জামাই’ – এর সঠিক সন্ধিরূপ কোনটি?
ক) নাতিজামাই
খ) নাতজামাই
গ) নাজজামাই
ঘ) নাতনিজামাই
সঠিক উত্তর: (গ)
৮. ‘বনস্পতি’ – এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
ক) বনস্ + পতি
খ) বনঃ + পতি
গ) বন + পতি
ঘ) বনো + পতি
সঠিক উত্তর: (গ)
৯. ‘নাজজামাই’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক) নাতি + জামাই
খ) নাতিন + জামািই
গ) নাজ্ + জামাই
ঘ) নাত + জামাই
সঠিক উত্তর: (ঘ)
১০. ‘ষষ্ঠ’ – এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
ক) ষট্ + থ
খ) ষষ + থ
গ) ষষ্ + ট
ঘ) ষষ্ + ঠ
সঠিক উত্তর: (খ)
১১. “অন্বেষণ’ শব্দটি কোন সন্ধি?
ক) স্বরসন্ধি
খ) ব্যঞ্জনসন্ধি
গ) বিসর্গ সন্ধি
ঘ) নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি
সঠিক উত্তর: (ক)
১২. উপরি + উক্ত সন্ধিবদ্ধ শব্দ কোনটি?
ক) উপরিউক্ত
খ) উপর্যপরি
গ) উপর্যুক্ত
ঘ) পুনরপি
সঠিক উত্তর: (গ)
১৩. ‘পরীক্ষা’ – এর সন্ধি বিচ্ধে কোনটি?
ক) পরি + ঈক্ষা
খ) পরী + ঈক্ষা
গ) পরী + ইক্ষা
ঘ) পরি + ইক্ষা
সঠিক উত্তর: (ক)
১৪. ‘যা + ইচ্ছা + তাই = যাচ্ছেতাই’ এখানে কোন ধ্বনি লোপ
পেয়েছে?
ক) আ
খ) অ
গ) ই
ঘ) এ
সঠিক উত্তর: (গ)
১৫. ‘বিদ্যালয়’ সন্ধিতে কোন সূত্রের প্রয়োগ হয়েছে?
ক) অ + অ
খ) অ + আ
গ) আ + আ
ঘ) আ + অ
সঠিক উত্তর: (গ)
১৬. সন্ধির বিসর্গ লোপ হয় কোন সন্ধিটিতে?
ক) প্রাতঃ + কাল
খ) শিরঃ + ছেদ
গ) শিরঃ + পীড়া
ঘ) মনঃ + কষ্ট
সঠিক উত্তর: (খ)
১৭. ‘পূর্ণেন্দু’ কোন সন্ধি?
ক) স্বরসন্ধি
খ) ব্যঞ্জনসন্ধি
গ) বিসর্গ সন্ধি
ঘ) নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি
সঠিক উত্তর: (ক)
১৮. ‘কৃষ্টি’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ –
ক) কৃ + ক্তি
খ) কৃষ্ + তি
গ) কৃঃ + তি
ঘ) কৃষ + টি
সঠিক উত্তর: (খ)
১৯. ‘নিষ্কর’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
ক) নিঃ + কর
খ) নীঃ + কর
গ) নিষ + কর
ঘ) নিস্ + কর
সঠিক উত্তর: (ক)
২০. ‘সন্ধি’ – এর সন্ধি বিচ্ছেদ কী?
ক) সম + ধি
খ) সম্ + ধি
গ) সম্ + ন্ধি
ঘ) সণ্ + ধি
সঠিক উত্তর: (খ)
২১. ‘মস্যাধার’ শব্দটির সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
ক) মসি + আধার
খ) মস্যা + আধার
গ) মসিহ + আধার
ঘ) মসী + আধার
সঠিক উত্তর: (ঘ)
২২. বিসর্গ সন্ধি বস্তুত কোন সন্ধির অন্তর্গত?
ক) ব্যঞ্জনসন্ধির
খ) স্বরসন্ধির
গ) নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধির
ঘ) নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধির
সঠিক উত্তর: (ক)
২৩. ‘সঞ্চয়’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
ক) সন্ + চয়
খ) সম্ + চয়
গ) সঙ্ + চয়
ঘ) সং + চয়
সঠিক উত্তর: (খ)
২৪. ‘অহরহ’ – এর সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক) অহঃ + রহ
খ) অহঃ + অহ
গ) অহঃ + অহঃ
ঘ) অহ + রহ
সঠিক উত্তর: (খ)
২৫. ‘শীতার্ত’ শব্দটির সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক) শীত + ঋত
খ) শীত + আর্ত
গ) শিত + ঋত
ঘ) শিত + অর্ত
সঠিক উত্তর: (ক)
২৬. যে ক্ষেত্রে উচ্চারণে আয়াসের লাঘব হয় অথচ ধ্বনিমাধুর্য
রক্ষিত হয় না, সেক্ষেত্রে কিসের বিধান নেই?
ক) সমাসের
খ) প্রত্যয়ের
গ) সন্ধির
ঘ) বচনের
সঠিক উত্তর: (গ)
২৭. কোনটি সন্ধির উদ্দেশ্য?
ক) শব্দের মিলন
খ) বর্ণের মিল
গ) ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন
ঘ) শব্দগত মাধুর্য সম্পাদন
সঠিক উত্তর: (গ)
২৮. কোনটি বিশেষ নিয়মে সাধিত সন্ধির উদাহরণ?
ক) সংস্কার/পরিষ্কার
খ) অতএব
গ) সংশয়
ঘ) মনোহর
সঠিক উত্তর: (ক)
২৯. কোন প্রকারের সন্ধি মূলত বর্ণ সংযোগের নিয়ম?
ক) তৎসম সন্ধি
খ) বাংলা সন্ধি
গ) স্বরসন্ধি
ঘ) ব্যঞ্জন সন্ধি
সঠিক উত্তর: (ক)
৩০. যে সন্ধি কোনো নিয়ম মানে না, তাকে বলে –
ক) ব্যঞ্জনসন্ধি
খ) স্বরসন্ধি
গ) নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি
ঘ) বিসর্গ সন্ধি
সঠিক উত্তর: (গ)
৩১. ‘রাজ্ঞী’ – এর সন্ধি বিচ্ছেদ নিচের কোনটি?
ক) রাজ্ + নী
খ) রাগ + গী
গ) রাজন + গী
ঘ) রাজা + গি
সঠিক উত্তর: (ক)
৩২. ‘দ্যুলোক’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
ক) দু + লোক
খ) দ্বি + লোক
গ) দুই + লোক
ঘ) দিব্ + লোক
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৩৩. ‘নাবিক’ – এর সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক) না + ইক
খ) নো + ইক
গ) নৌ + ইক
ঘ) না + বিক
সঠিক উত্তর: (গ)
৩৪. নিচের কোনটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি?
ক) পরিষ্কার
খ) ষড়ানন
গ) সংস্কার
ঘ) আশ্চর্য
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৩৫. ‘লবণ’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ –
ক) লো + অন
খ) লব + ন
গ) লব + অন
ঘ) লো + বন
সঠিক উত্তর: (ক)
৩৬. সন্ধির প্রধান সুবিধা কী?
ক) পড়ার সুবিধা
খ) লেখার সুবিধা
গ) উচ্চারণের সুবিধা
ঘ) শোনার সুবিধা
সঠিক উত্তর: (গ)
৩৭. কোন সন্ধিটি নিপাতনে সিদ্ধ?
ক) বাক্ + দান = বাকদান
খ) উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ
গ) পর + পর = পরস্পর
ঘ) সম্ + সার = সংসার
সঠিক উত্তর: (গ)
৩৮. বিসর্গকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
ক) দুই
খ) তিন
গ) চার
ঘ) পাঁচ
সঠিক উত্তর: (ক)
৩৯. ত্/দ্ এর পর চ্/ছ্ থাকলে ত্/দ্ এর স্থানে ‘চ্’ হয়। এর
উদাহরণ কোনটি?
ক) সজ্জন
খ) সচ্ছাত্র
গ) উচ্ছ্বাস
ঘ) বিচ্ছিন্ন
সঠিক উত্তর: (খ)
৪০. ‘বৃষ্টি’ – এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
ক) বৃস + টি
খ) বৃশ + টি
গ) বৃষ্ + তি
ঘ) বৃষ + টি
সঠিক উত্তর: (গ)
৪১. ‘প্রত্যূষ’ শব্দের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক) প্রত্য + উষ
খ) প্রত্য + ঊষ
গ) প্রতি + উষ
ঘ) প্রতি + ঊষ
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৪২. ‘অ-কারের পর ঔ-কার থাকলে উভয়ে মিলে ঔ-কার হয়’ –
এর উদাহরণ কোনটি?
ক) মহৌষধ
খ) বনৌষধি
গ) পরমৌষধ
ঘ) পরমৌষধি
সঠিক উত্তর: (গ)
৪৩. স্বরবর্ণের সঙ্গে স্বরবর্ণের মিলনকে কী সন্ধি বলে?
ক) নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি
খ) স্বরসন্ধি
গ) বিসর্গ সন্ধি
ঘ) ব্যঞ্জনসন্ধি
সঠিক উত্তর: (খ)
৪৪. মূর্ধ্য শিষ ধ্বনি ‘ষ’ এর পর অঘোষ মহাপ্রাণ ‘থ’ ধ্বনি থাকলে
উভয়ে মিলে কী হয়?
ক) ল্ম
খ) ষ্ঠ
গ) ষ্ট
ঘ) ঞ
সঠিক উত্তর: (খ)
৪৫. সন্ধির প্রধান উদ্দেশ্য –
ক) স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজসাধ্য
খ) উচ্চারণের দ্রুততা
গ) আঞ্চলিক ভাষার মাধুর্য রক্ষা
ঘ) স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের মিলন
সঠিক উত্তর: (ক)
৪৬. প্রকৃত বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধি কোন নিয়মে হয়ে থাকে?
ক) বিষমীভবন
খ) সমীভবন
গ) অসমীকরণ
ঘ) স্বরসংগতি
সঠিক উত্তর: (খ)
৪৭. ম্ এর পরে যেকোনো বর্গীয় ধ্বনি থাকলে ম্ ধ্বনিটি সেই
বর্গের নাসিক্য ধ্বনি হয়। এর উদাহরণ কোনটি?
ক) যজ্ঞ
খ) তন্মধ্যে
গ) সঞ্চয়
ঘ) রাজ্ঞী
সঠিক উত্তর: (গ)
৪৮. অ-কার কিংবা আ-কারের পর ঋ-কার থাকলে উভয় মিলে কী
হয়?
ক) এর
খ) আর
গ) র
ঘ) অর
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৪৯. স্বরধ্বনির পর কোনটি থাকলে তা ‘চ্ছ’ হয়?
ক) দ
খ) চ
গ) ঝ
ঘ) ছ
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৫০. আ + ঈ = এ – এ নিয়মের বাইরে কোনটি?
ক) মহেশ
খ) রমেশ
গ) ঢাকেশ্বরী
ঘ) গণেশ
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৫১. ‘পর্যন্ত’ – এর সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক) পর্য + ন্ত
খ) পরি + অন্ত
গ) পর্য + অন্ত
ঘ) প + অন্ত
সঠিক উত্তর: (খ)
৫২. উ-কারের পর বিসর্গ (ঃ) এবং তার পরে ‘ক’ থাকলে কোন
ব্যঞ্জনধ্বনি বসে?
ক) স
খ) ষ
গ) শ
ঘ) য
সঠিক উত্তর: (খ)
৫৩. আ + ও = ঔ – এই নিয়মে সাধিত সন্ধিবদ্ধ শব্দ কোনটি?
ক) মহৌষধি
খ) মহৌষধ
গ) বনৌষধি
ঘ) পরমৌষধ
সঠিক উত্তর: (গ)
৫৪. গোষ্পদ – এর সন্ধিবিচ্ছেদ কী হবে?
ক) গোর + পদ
খ) গো + পদ
গ) গৌ + পদ
ঘ) গৌর + পদ
সঠিক উত্তর: (খ)
৫৫. কোনটি বিসর্গ সন্ধি?
ক) ততোধিক
খ) বিদ্যালয়
গ) দিগন্ত
ঘ) পরিচ্ছেদ
সঠিক উত্তর: (ক)
৫৬. তৎসম সন্ধি কয় প্রকার?
ক) তিন
খ) দুই
গ) চার
ঘ) পাঁচ
সঠিক উত্তর: (ক)
৫৭. ‘ধনুষ্টঙ্কার’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক) ধনুঃ + টঙ্কার
খ) ধনু + টঙ্কার
গ) ধনুস + টঙ্কার
ঘ) ধনুষ টঙ্কার
সঠিক উত্তর: (ক)
৫৮. ‘অন্বেষণ’ শব্দটি কোন সন্ধি?
ক) স্বরসন্ধি
খ) ব্যঞ্জনসন্ধি
গ) বিসর্গ সন্ধি
ঘ) নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি
সঠিক উত্তর: (ক)
৫৯. ‘দিগন্ত’ – এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
ক) দিগ + অন্ত
খ) দিক্ + অন্ত
গ) দিক + অন্ত
ঘ) দিগ্ + অন্ত
সঠিক উত্তর: (খ)
৬০. ‘পশু + অধম’ – এর শুদ্ধ সন্ধি কী?
ক) পশ্বধম
খ) পশ্বাধম
গ) পশুধম
ঘ) পশাধম
সঠিক উত্তর: (খ)
৬১. কোন ক্ষেত্রে সন্ধি করার নিয়ম নেই?
ক) আয়াসের লাঘব হলে
খ) ধ্বনিমাধুর্য রক্ষিত না হলে
গ) শ্রুতিমধুর হলে
ঘ) স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজপ্রবণ হলে
সঠিক উত্তর: (খ)
৬২. কোনটি স্বরসন্ধির উদাহরণ?
ক) কাঁচা + কলা = কাঁচকলা
খ) নাতি + বৌ = নাতবৌ
গ) বদ্ + জাত = বজ্জাত
ঘ) রুপা + আলি = রুপালি
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৬৩. নিচের কোনটি স্বরসন্ধির উদাহরণ?
ক) ষড়ানন
খ) কথাচ্ছলে
গ) পরিষ্কার
ঘ) হস্তান্তর
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৬৪. কোনটি বাংলা ব্যঞ্জনসন্ধির উদাহরণ?
ক) তিনেক
খ) কতেক
গ) শতেক
ঘ) নিন্দুক
সঠিক উত্তর: (ক)
৬৫. ‘অ’ কার কিংবা ‘আ’ কারের পর ‘ই’ কার কিংবা ‘ঈ’ কার
থাকলে উভয়ে মিলে –
ক) ঈ-কার হয়
খ) উ-কার হয়
গ) ও-কার হয়
ঘ) এ-কার হয়
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৬৬. ‘শীতার্ত’ শব্দটির সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
ক) শীত + ঋত
খ) সন্ধি + আর্ত
গ) শিত + ঋত
ঘ) শিত + অর্ত
সঠিক উত্তর: (ক)
৬৭. ‘মনীষা’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
ক) মন + ঈষা
খ) মনঃ + ইষা
গ) মনস + ঈষা
ঘ) মনো + ঈষা
সঠিক উত্তর: (গ)
৬৮. খাঁটি বাংলায় কোন সন্ধি নেই?
ক) স্বরসন্ধি
খ) ব্যঞ্জনসন্ধি
গ) বিসর্গ সন্ধি
ঘ) বাংলা সন্ধি
সঠিক উত্তর: (গ)
৬৯. কোনটি স্বরসন্ধির উদাহরন?
ক) উদ্ধার
খ) পুরস্কার
গ) তিরস্কার
ঘ) অতীত
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৭০. মিতা + আলি = মিতালি – এটি কোন সন্ধি?
ক) খাঁটি বাংলা ব্যঞ্জন সন্ধি
খ) খাঁটি বাংলা স্বরসন্ধি
গ) তৎসম স্বরসন্ধি
ঘ) তৎসম ব্যঞ্জন সন্ধি
সঠিক উত্তর: (গ)
৭১. ই + ঈ = ঈ – এর উদাহরণ কোনটি?
ক) পরীক্ষা
খ) অতীত
গ) সতীন্দ্র
ঘ) সতীশ
সঠিক উত্তর: (ক)
৭২. ‘সম্ + দর্শন’ – এর সঠিক সন্ধি কোনটি?
ক) সুন্দর
খ) সুদর্শন
গ) সন্দর্শন
ঘ) সৌন্দর্য
সঠিক উত্তর: (গ)
fb/jobcircular24
৭৩. কোনটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি?
ক) অন্যান্য
খ) প্রত্যেক
গ) স্বল্প
ঘ) তন্বী
সঠিক উত্তর: (ক)
৭৪. ‘সংবাদ’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ কী?
ক) সম্ + বাদ
খ) সঃ + বাদ
গ) সং + বাদ
ঘ) সৎ + বাদ
সঠিক উত্তর: (ক)
৭৫. ‘শুভেচ্ছা’ শব্দটির সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কী?
ক) শুভ + অচ্ছা
খ) শুভ + এচ্ছা
গ) শুভ + ইচ্ছা
ঘ) শুভে + ইচ্ছা
সঠিক উত্তর: (গ)
৭৬. কোনটি নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধির উদাহরণ?
ক) প্রত্যেক
খ) রাজ্ঞী
গ) মার্তন্ড/পৌঢ়
ঘ) গায়ক
সঠিক উত্তর: (গ)
৭৭. ‘গবেষণা’ শব্দের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
ক) গব + এষণা
খ) গো + এষণা
গ) গো + ষণা
ঘ) গ + বেষণা
সঠিক উত্তর: (খ)
৭৮. ‘অন্বেষণ’ – এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কী?
ক) অন্ব + এষণ
খ) অনু + এষণ
গ) অন্ব + ষণ
ঘ) অনু + ষণ
সঠিক উত্তর: (খ)
৭৯. বিসর্গ সন্ধিকে সাধারণত ভাগ করা হয়েছে কয় ভাগে?
ক) তিন ভাগে
খ) ছয় ভাগে
গ) দু ভাগে
ঘ) নয় ভাগে
সঠিক উত্তর: (গ)
৮০. ঔ + উ = আব্ + উ – এ সূত্র প্রয়োগে সন্ধি হয়েছে কোনটির?
ক) পাবক
খ) নাবিক
গ) ভাবুক
ঘ) গায়ক
সঠিক উত্তর: (গ)
৮১. ঔ + উ = আব্ + উ – এই সূত্র প্রয়োগে সন্ধি হয়েছে
কোনটির?
ক) পাবক
খ) নাবিক
গ) ভাবুক
ঘ) গায়ক
সঠিক উত্তর: (গ)
৮২. ‘জনৈক’ – শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ –
ক) জন + ঐক
খ) জন + নৈক
গ) জন + এক
ঘ) জন + ঔক
সঠিক উত্তর: (গ)
৮৩. নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি কোনটি?
ক) তস্কর
খ) উত্থান
গ) পরিষ্কার
ঘ) সংস্কার
সঠিক উত্তর: (ক)
৮৪. ‘সন্ধি’ বাংলা ব্যাকরণের কোন অংশের আলোচ্য বিষয়?
ক) ধ্বনিতত্ত্ব
খ) শব্দতত্ত্ব
গ) রূপতত্ত্ব
ঘ) বাক্যতত্ত্ব
সঠিক উত্তর: (ক)
৮৫. ‘জগজ্জীবন’ শব্দটি সন্ধির কোন নিয়ম অনুসারে হয়েছে?
ক) ত্ + ঝ
খ) ত্ + জ
গ) দ্ + জ
ঘ) দ্ + ঝ
সঠিক উত্তর: (খ)
৮৬. ‘বিদ্যালয়’ – এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
ক) বিদ্য + আলয়
খ) বিদ্যা + অলয়
গ) বিদ + আলয়
ঘ) বিদ্যা + আলয়
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৮৭. আ + আ = আ হয় – এই সূত্রের প্রয়োগ কোনটিতে হয়েছে?
ক) প্রাণাধিক
খ) কথামৃত
গ) রত্নাকর
ঘ) মহাশয়
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৮৮. নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি কয় প্রকার?
ক) পাঁচ
খ) চার
গ) তিন
ঘ) দুই
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৮৯. আ + আ = আ হয় – এ সূত্রের প্রয়োগ কোনটিতে হয়েছে?
ক) সদানন্দ
খ) কথামৃত
গ) দেবালয়
ঘ) প্রাণাধিক
সঠিক উত্তর: (ক)
৯০. উপরি + উপরি সন্ধি সাধিত শব্দ কোনটি?
ক) উপর্যুপরি
খ) উপর্যপরি
গ) উপরিউপার
ঘ) পুনরপি
সঠিক উত্তর: (ক)
৯১. অহর্নিশ – সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক) অহ + নিশ
খ) অহো + নিশা
গ) অহঃ + নিশা
ঘ) অহর + নিশ
সঠিক উত্তর: (গ)
৯২. ‘ষোড়শ’ – এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
ক) ষট + অশ
খ) ষট্ + দশ
গ) ষড় + অশ
ঘ) ষড় + দশ
সঠিক উত্তর: (খ)
৯৩. ‘তদবধি’ শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক) তত + বধি
খ) তৎ + বধি
গ) তদ + অবধি
ঘ) তৎ + অবধি
সঠিক উত্তর: (ঘ)
৯৪. উৎ + ছেদ =
ক) উচ্ছেদ
খ) উৎছেদ
গ) উছ্যেদ
ঘ) উৎছাদ
সঠিক উত্তর: (ক)
৯৫. ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে স্বরবর্ণ মিলে কোন সন্ধি হয়?
ক) স্বরসন্ধি
খ) ব্যঞ্জনসন্ধি
গ) বিসর্গ সন্ধি
ঘ) নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি
সঠিক উত্তর: (খ)
৯৬. ‘সম্ + দর্শন’ – এর সঠিক সন্ধি কোনটি?
ক) সুন্দর
খ) সুদর্শন
গ) সন্দর্শন
ঘ) সৌন্দর্য
সঠিক উত্তর: (গ)
৯৭. নিচের কোনটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির উদাহরণ?
ক) পবন
খ) গবাক্ষ
গ) পরিচ্ছদ
ঘ) সজ্জন
সঠিক উত্তর: (খ)
৯৮. অঘোষ অল্পপ্রাণ ও ঘোষ অল্পপ্রাণ তালব্য ধ্বনির পরে নাসিক্য
ধ্বনি তালব্য ধ্বনি হয়। এর উদাহরণ কোনটি?
ক) তৎ + রূপ = তদ্রুপ
খ) সম্ + তাপ = সন্তাপ
গ) রাজ্ + নী = রাজ্ঞী
ঘ) তদ্ + কাল = তৎকাল
সঠিক উত্তর: (গ)
৯৯. ‘দুর্যোগ’ – এর সন্ধিবিচ্ছেদ কী?
ক) দুহঃ + যোগ
খ) দুঃ + যোগ
গ) দুর + যোগ
ঘ) দুহ + যোগ
সঠিক উত্তর: (খ)
১০০. ‘মুখচ্ছবি’ শব্দটি সন্ধির কোন নিয়মে পড়ে?
ক) স্বরধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি
খ) ব্যঞ্জনধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি
গ) ব্যঞ্জনধ্বনি + স্বরধ্বনি
ঘ) ব্যঞ্জনধ্বনি + বিসর্গ ধ্বনি
সঠিক উত্তর: (ক)
বাংলা ভাষার শব্দসমূহ
বাংলা ভাষার শব্দ ভাণ্ডার ও মনে রাখার টেকনিকঃ
প্রথম পর্বে থাকছে বিস্তারিত আলোচনা এবং দ্বিতীয় পর্বে থাকছে
মনে রাখার শর্ট টেকনিক।
বাংলা ভাষা গোড়াপত্তনের যুগে স্বল্প সংখ্যক শব্দ নিয়ে যাত্রা শুরু
করলেও নানা ভাষার সংস্পর্শে এসে এর শব্দ-সম্ভার বহুল
পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে তুর্কি আগমন ও মুসলিম
শাসন পত্তনের সুযোগে ক্রমে প্রচুর আরবি ও ফারসি শব্দ বাংলা
ভাষার নিজস্ব সম্পদে পরিণত হয়েছে। এরপর এলো ইংরেজ।
ইংরেজ শাসনামলেও তাদের নিজস্ব সাহিত্য এবং সংস্কৃতির বহু
শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ লাভ করে। বাংলা ভাষা ঐ সব ভাষার
শব্দগুলোকে আপন করে নিয়েছে। এভাবে বাংলা ভাষায় যে
শব্দসম্ভারের সমাবেশ হয়েছে, সেগুলোকে পণ্ডিতগণ কয়েকটি
ভাগে ভাগ করেছেন। যেমন
১. তৎসম শব্দ
২. তদ্ভব শব্দ
৩. অর্ধ-তৎসম শব্দ
৪. দেশি শব্দ
৫. বিদেশি শব
১. তৎসম শব্দ :
যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলায় এসেছে এবং
যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তৎসম
শব্দ। তৎসম একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ [তৎ (তার)+ সম
(সমান)]=তার সমান অর্থাৎ সংস্কৃত।
উদাহরণ : চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য ইত্যাদি।
২. তদ্ভব শব্দ :
যেসব শব্দের মূল সংস্কৃত ভাষায় পাওয়া যায়, কিন্তু ভাষার
স্বাভাবিক বিবর্তন ধারায় প্রাকৃতের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে
আধুনিক বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয়
তদ্ভব শব্দ। তদ্ভব একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ, ‘তৎ’ (তার)
থেকে ‘ভব’ (উৎপন্ন)। যেমন -সংস্কৃত-হস্ত, প্রাকৃত-হত্থ, তদ্ভব-
হাত। সংস্কৃত-চর্মকার, প্রাকৃত-চম্মআর, তদ্ভব-চামার ইত্যাদি। এই
তদ্ভব শব্দগুলোকে খাঁটি বাংলা শব্দও বলা হয়।
৩. অর্ধ-তৎসম শব্দ :
বাংলা ভাষায় কিছু সংস্কৃত শব্দ কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে
ব্যবহৃত হয়। এগুলোকে বলে অর্ধ-তৎসম শব্দ। তৎসম মানে
সংস্কৃত। আর অর্ধ তৎসম মানে আধা সংস্কৃত।
উদাহরণ : জ্যোছনা, ছেরাদ্দ, গিন্নী, বোষ্টম, কুচ্ছিত- এ শব্দগুলো
যথাক্রমে সংস্কৃত জ্যোৎস্না, শ্রাদ্ধ, গৃহিণী, বৈষ্ণব, কুৎসিত শব্দ
থেকে আগত।
৪. দেশি শব্দ :
বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের (যেমন : কোল, মুণ্ডা প্রভৃতি)
ভাষা ও সংস্কৃতির কিছু কিছু উপাদান বাংলায় রক্ষিত রয়েছে।
এসব শব্দকে দেশি শব্দ নামে অভিহিত করা হয়। অনেক সময়
এসব শব্দের মূল নির্ধারণ করা যায় না; কিন্তু কোন ভাষা থেকে
এসেছে তার হদিস মেলে।
যেমন-
কুড়ি (বিশ)-কোলভাষা,
পেট (উদর)-তামিল ভাষা,
চুলা (উনুন)-মুণ্ডারী ভাষা।
এরূপ-কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ডাব, ডাগর, ঢেঁকি ইত্যাদি আরও
বহু দেশি শব্দ বাংলায় ব্যবহৃত হয়।
৫. বিদেশি শব্দ :
রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সংস্কৃতিগত ও বাণিজ্যিক কারণে বাংলাদেশে
আগত বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের বহু শব্দ বাংলায় এসে স্থান করে
নিয়েছে। এসব শব্দকে বলা হয় বিদেশি শব্দ। এসব বিদেশি
শব্দের মধ্যে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি শব্দই বিশেষভাবে
উল্লেখযোগ্য। সে কালের সমাজ জীবনের প্রয়োজনীয়
উপকরণরূপে বিদেশি শব্দ এ দেশের ভাষায় গৃহীত হয়েছে।
এছাড়া পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি- এসব ভাষারও কিছু
শব্দ একইভাবে বাংলা ভাষায় এসে গেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী
ভারত, মায়ানমার (বার্মা), মালয়, চীন, জাপান প্রভৃতি দেশেরও
কিছু শব্দ আমাদের ভাষায় প্রচলিত রয়েছে।
ক. আরবি শব্দ :
বাংলায় ব্যবহৃত আরবি শব্দগুলোকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা
যায়-
(১) ধর্মসংক্রান্ত শব্দ :
আল্লাহ, ইসলাম, ঈমান, ওজু, কোরবানি, কুরআন, কিয়ামত,
গোসল, জান্নাত, জাহান্নাম, তওবা, তসবি, জাকাত, হজ, হাদিস,
হারাম- হালাল ইত্যাদি।
(২) প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক শব্দ :
আদালত, আলেম, ইনসান, ঈদ, উকিল, ওজর, এজলাস, এলেম,
কানুন, কলম, কিতাব, কেচ্ছা, খারিজ, গায়েব, দোয়াত, নগদ,
বাকি, মহকুমা, মুন্সেফ, মোক্তার, রায় ইত্যাদি।
খ. ফারসি শব্দ :
বাংলা ভাষায় আগত ফারসি শব্দগুলোকে আমরা তিন ভাগে ভাগ
করতে পারি।
(১) ধর্মসংক্রান্ত শব্দ :
খোদা, গুনাহ, দোজখ, নামাজ, পয়গম্বর, ফেরেশতা, বেহেশত,
রোজা ইত্যাদি।
(২) প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক শব্দ :
কারখানা, চশমা, জবানবন্দি, তারিখ, তোশক, দফতর, দরবার,
দোকান, দস্তখত, দৌলত, নালিশ, বাদশাহ, বান্দা, বেগম, মেথর,
রসদ ইত্যাদি।
(৩) বিবিধ শব্দ :
আদমি, আমদানি, জানোয়ার, জিন্দা, নমুনা, বদমাস, রফতানি,
হাঙ্গামা ইত্যাদি।
গ. ইংরেজি শব্দ :
ইংরেজি শব্দ দুই প্রকারের পাওয়া যায়-
(১) অনেকটা ইংরেজি উচ্চারণে :
ইউনিভার্সিটি, ইউনিয়ন, কলেজ, টিন, নভেল, নোট, পাউডার,
পেন্সিল, ব্যাগ, ফুটবল, মাস্টার, লাইব্রেরি, স্কুল ইত্যাদি।
(২) পরিবর্তিত উচ্চারণে :
আফিম (Opium), অফিস (Office), ইস্কুল (School), বাক্স
(Box), হাসপাতাল (Hospital), বোতল (Bottle) ইত্যাদি।
ঘ. ইংরেজি ছাড়া অন্যান্য ইউরোপীয় ভাষার শব্দ
(১) পর্তুগিজ :
আনারস, আলপিন, আলমারি, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, পাদ্রি,
বালতি ইত্যাদি।
(২) ফরাসি :
কার্তুজ, কুপন, ডিপো, রেস্তোরাঁ ইত্যাদি।
(৩) ওলন্দাজ :
ইস্কাপন, টেক্কা, তুরুপ, রুইতন, হরতন ইত্যাদি।
ঙ. অন্যান্য ভাষার শব্দ
(১) গুজরাটি : খদ্দর, হরতাল ইত্যাদি।
(২) পাঞ্জাবি : চাহিদা, শিখ ইত্যাদি।
(৩) তুর্কি : চাকর, চাকু, তোপ, দারোগা।
(৪) চিনা : চা, চিনি ইত্যাদি।
(৫) মায়ানমার (বার্মিজ) : ফুঙ্গি, লুঙ্গি ইত্যাদি।
(৬) জাপানি : রিক্সা, হারিকিরি ইত্যাদি।
মিশ্র শব্দ :
কোনো কোনো সময় দেশি ও বিদেশি শব্দের মিলনে শব্দদ্বৈত সৃষ্টি
হয়ে থাকে। যেমন –
রাজা-বাদশা (তৎসম+ফারসি),
হাট-বাজার (বাংলা+ফারসি),
হেড-মৌলভি (ইংরেজি+ফারসি),
হেড-পণ্ডিত (ইংরেজি+তৎসম)
খ্রিষ্টাব্দ (ইংরেজি+তৎসম),
ডাক্তার-খানা (ইংরেজি+ফারসি),
পকেট-মার (ইংরেজি+বাংলা),
চৌ-হদ্দি (ফারসি+আরবি) ইত্যাদি।
পারিভাষিক শব্দ :
বাংলা ভাষায় প্রচলিত বিদেশি শব্দের ভাবানুবাদমূলক
প্রতিশব্দকে পারিভাষিক শব্দ বলে। এর বেশিরভাগই এ কালের
প্রয়োগ।
উদাহরণ :
অম্লজান- hydrogen;
উদযান-hydrogen;
নথি-file;
প্রশিক্ষণ-training;
ব্যবস্থাপক-manager;
বেতার-radio;;
মহাব্যবস্থাপক- general manager;
সচিব-secretary;
স্নাতক-graduate;
স্নাতোকোত্তর- post graduate;
সমাপ্তি-final;
সাময়িকী- periodical;
সমীকরণ- equation ইত্যাদি।
জ্ঞাতব্য : বাংলা ভাষার শব্দসম্ভার দেশি, বিদেশি, সংস্কৃত- যে
ভাষা থেকেই আসুক না কেন, এখন তা বাংলা ভাষার নিজস্ব
সম্পদ। এগুলো বাংলা ভাষার সঙ্গে এমনভাবে মিশে গেছে যে,
বাংলা থেকে আলাদা করে এদের কথা চিন্তা করা যায় না। যেমন-
টেলিফোন, টেলিগ্রাফ, রেডিও, স্যাটেলাইট ইত্যাদি প্রচলিত
শব্দের কঠিনতর বাংলা পরিভাষা সৃষ্টি নিষ্প্রয়োজন।
বিভিন্ন ভাষার শব্দ মনে রাখার কৌশল:
১. পর্তুগীজ শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
গীর্জার পাদ্রি গুদামের বড় কামারার আলমারীর চাবি খুলে বালতি
ভর্তি পাউরুটি, আনারস আতা, আচার, কাবাব এবং কেরাণিকে
দিয়ে ইস্পাতের অন্য বাসনে আলকাতরা,আলপিন, ফিতা নিয়ে
বেরিয়ে এসে সাবান মার্কা তোয়ালে পেতে বসলেন।
ব্যাখ্যা: গীর্জা, কামরা, পাদ্রি, গুদাম, আলমারী, চাবি, বালতি,
পাউরুটি, আনারস, আতা, আচার, কাবাব, কেরানী, ইস্পাত,
বাসন, আলকাতরা, আলপিন, ফিতা, সাবান, মার্কা এবং তোয়ালে
পর্তুগীজ শব্দ।
২. ফরাসি শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
বাংলা শব্দ ভান্ডারে বহু ফরাসি শব্দ আছে যা এই উপমহাদেশে
ফরাসিদের আগমন এবং তাদের ভাষা থেকে আমাদের বাংলা
ভাষায় স্থান করে নিয়েছে। নিচের চমৎকার ছড়াটির মাধ্যমে
ফরাসি শব্দ মনে রাখা যায়।
ফরাসিরা কার্তুজ কাটে
কুপন নিয়ে যায় রেস্তোরাঁয়
সেমিজ ঘরে পাতি পাতি
ডিপোতে সব বাস রয়।
ব্যাখ্যা: কার্তুজ কুপন ডিপো রেস্তোরাঁ আঁশ ওলন্দাজ শেমিজ
পাতি-এগুলো ফরাসি শব্দ।
৩. ওলন্দাজ শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
বহু শব্দ ওলন্দাজ ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে।
নিচের ছড়াটির মাধ্যমে ওলন্দাজ শব্দ মনে রাখা যেতে পারে।
ওলন্দাজদের তাস খেলতে
লাগে ইস্কাপন
আরো লাগে টেক্কা তুরুপ
হরতন ও রুইতন।
ব্যাখ্যা: ইস্কাপন, টেক্কা, তুরুপ, হরতন ও রুইতন।
৪. তুর্কি শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
সুলতান দারোগার বাবা আলখেল্লা পরে বেগম রহিমা খাতুন ও
চাকরকে সাথে নিয়ে শিকারে গেলেন। তার বন্দুকের গুলিতে
চাকুওয়ালা বাবুর্চি এবং কুলির লাশ পড়লে সাজা ভোগ শেষে
মুচলেকা দিয়ে জনগনের বারুদ নেভালেন।
ব্যাখ্যা: বাবা, দারোগা, কুলি, লাশ, চাকু, বাবুর্চি , সুলতান, বন্দুক ,
বারুদ , চাকর, মুচলেকা, খাতুন ,বেগম, আলখেল্লা ইত্যাদি তুর্কি
শব্দ।
৫. গুজরাটি শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
গুজরাটিরা দামি খদ্দর পরে হরতাল করে।
ব্যাখ্যা: খদ্দর এবং হরতাল গুজরাটি শব্দ।
৬. পাঞ্জাবী শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
শিখ তারকাদের কাছে পাঞ্জাবীর চাহিদা বেশি।
ব্যাখ্যা: তারকা, পাঞ্জাবী।
৭. চীনা শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
চা, চিনি, লিচু ও লুচি চীনাদের প্রিয় খাবার।
ব্যাখ্যা: চা, চিনি, লিচু ও লুচি চীনা শব্দ।
৮. বার্ম শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
বার্মাদের কাছে লুঙ্গি ও ফুঙ্গি জনপ্রিয় পোষাক।
ব্যাখ্যা: লুঙ্গি, ফুঙ্গি
৯. জাপানি শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
হাসনাহেনা ক্যারাটে ও জুডো শিখতে রোজ রিকসায় যায়।
ব্যাখ্যা: হাসনাহেনা, ক্যারাটে, জুডো, রিকসায়
১০. ফারসি শব্দ মনে রাখার কৌশলঃ
নিচের ছড়ার মাধ্যমে ফারসি শব্দ মনে রাখা যেতে পারে।
সবগুলোই ফারসি শব্দ।
খোদা গুনাহ দোজখ নামাজ পয়গম্বর
কারখান চশমা তারিখ তোষক দফতর।
রোজা ফেরেস্তা ভেস্ত দোকান দরবার
আমদানি রফতানি জিন্দা জানোয়ার।
নালিশ বাদশাহ বান্দা দৌলাত
বেগম মেথর নমুনা দস্তখত।
১১. আরবি শব্দ মনে রখার কৌশলঃ
নিচের ছড়ার মাধ্যমে আরবি শব্দ মনে রাখা যেতে
পারে।সবগুলোই আরবি শব্দ।
আল্লাহ ইসলাম ওজু গোসল কুরআন
হজ্জ যাকাত হারাম হালাল ঈমান।
মোক্তার রায় জাহান্নাম খারিজ আদালত
আলেম এলেম গায়েব কেচ্ছা কিয়ামত।
ঈদ উকিল ওজর এজলাস ইসনান
কলম কানুন নগদ বাকি লোকসান।
উপসর্গ
উপসর্গঃ মাত্র ১০ মিনিটেই সব উপসর্গ মুখস্থ‼️
বাংলাউপসর্গ ২১ টি।
সু, হা, স, আ, নি, বি, অজ, ভর, সা, অ, অনা, কু, আড়, আব, ঊন, পাতি, কদ, আন, ইতি, অঘা, রাম।
মনে রাখার টেকনিক→
সুহাস,
আদর নিবি। তুই অজপাড়ার ভরসা বলে অনেকে অনাচার, কুকথা ও আড়চোখে দেখে। আবডালের ঊনত্রিশটি পাতিলেবু ও কদবেল আনবি।
ইতি-
অঘারাম
সংস্কৃতউপসর্গ ২০টি।
অপি, অনু, অপ, প্রতি, সম, অধি, সু, প্র, অতি, উৎ, পরা, নির, বি,পরি, দূর, উপ, অব,অভি, আ, নি।
মরে রাখার টেকনিক →
অপি ও অনু অপরের প্রতি সম অধিকার সু প্রতিষ্ঠায় অতি উৎসাহ পরায়নির বিপরিতে দূর উপনিবেশে অবরোধ অভিযান আনিয়েছে।
আরবি_উপসর্গ: গর আম খাস লা বাজে।
ইংরেজি : হেড, সাব, হাফ, ফুল।
মনে রাখার টেকনিক →
হেড-মাস্টার সাব হাফ-পাগল, ফুল-চালাক!
ফারসি : (বদ্ , বর্ , নিম্ , ফি, কম্ , বে্ দর্ , কার্ না)
মনে রাখার টেকনিক →
বদ বরকে নিম ফি কম-বেশ দেয়ার দরকার নাই।
হিন্দি_উপসর্গঃ হর।
সমার্থক শব্দ
অগ্নি ➟ অনল, পাবক, আগুন, দহন, সর্বভূক, শিখা, হুতাশন, বহ্নি, বৈশ্বানর, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি
অন্ধকার ➟ আঁধার, তমঃ, তমিস্রা, তিমির, আন্ধার, তমস্র, তম
অখন্ড ➟ সম্পূর্ণ, আস্ত, গোটা, অক্ষত, পূর্ণ, সমগ্র, সমাগ্রিক।
অবকাশ ➟ সময়, ফূসরত, অবসর, ছুটি, সুযোগ, বিরাম।
অক্লান্ত ➟ ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন, অনলস, নিরলস, অদম্য, উদ্যমী, পরিশ্রমী, অশ্রান্ত।
অপূর্ব ➟ অদ্ভুত, আশ্চর্য, অলৌকিক, অপরূপ, অভিনব, বিস্ময়কর, আজব, তাজ্জব, চমকপ্রদ, অবাক করা, মনোরম, সুন্দর।
অক্ষয় ➟ চিরন্তন, ক্ষয়হীন, নাশহীন, অশেষ, অনন্ত, অব্যয়, অবিনাশী, অলয়, অনশ্বর, লয়হীন, অমর, স্থায়ী।
অঙ্গ ➟ দেহ, শরীর, অবয়ব, গা, গাত্র, বপু, তনু, গতর, কাঠামো, আকৃতি, দেহাংশ।
অবস্থা ➟ দশা, রকম, প্রকার, গতিক, হাল, স্তিতি, অবস্থান, পরিবেশ, ঘটনা, ব্যাপার, প্রসঙ্গ, হালচাল, স্টাটাস।
আইন ➟ বিধান, কানুন, বিহিতক, অধিনিয়ম, বিধি, অনুবিধি, উপবিধি, ধারা, বিল, নিয়ম, নিয়মাবলি, বিধিব্যবস্থা।
আসল ➟ খাঁটি, মূলধন, মৌলিক, মূল, প্রকৃত, যথার্থ।
আনন্দ ➟ হর্ষ, হরষ, পুলক, সুখ, স্ফূতর্ত, সন্তোষ, পরিতোষ, প্রসন্নতা, আমোদ, প্রমোদ, হাসি, উল্লাস, মজা, তুষ্টি, খুশি, হাসিখুশি।
আদি ➟ প্রথম, আরম্ভ, অগ্র, পূর্ব, প্রাচীন, মূল।
অতনু ➟ মদন, অনঙ্গ, কাম, কন্দর্প
আকাশ ➟ আসমান, অম্বর, গগন, নভোঃ, নভোমণ্ডল, খগ, ব্যোম, অন্তরীক্ষ
আলোক ➟ আলো, জ্যোতি, কিরণ, দীপ্তি, প্রভা
ইচ্ছা ➟ আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, অভিরুচি, অভিপ্রায়, আগ্রহ, স্পৃহা, কামনা, বাসনা, বাঞ্চা, ঈপ্সা, ঈহা
আল্লাহ্ ➟ আল্লাহ্ ,ঈশ্বর, খোদা, ঈশ, ইলাহি, সৃষ্টিকর্তা, বিশ্বপতি, পরমাত্মা, জগদীশ্বর, জগদীশ, জগন্নাথ, আদিনাথ, অমরেশ, পরেশ,লোকনাথ, পরমপুরুষ, পরমপিতা, করুণাময়, দয়াময়, বিধি, পরমেশ, জীবিতেশ, মালিক , ভগবান, ধাতা।
উঁচু ➟ উচ্চ, তুঙ্গ, সমুন্নত, আকাশ-ছোঁয়া, গগনচূম্বী, অভ্রভেদী, অত্যুচ্চ, সুউচ্চ।
উদাহরণ ➟ দৃষ্টান্ত, নিদর্শন, নজির, নমুনা, উল্লেখ, অতিষ্ঠা।
উত্তম ➟ প্রকৃষ্ট, শ্রেষ্ঠ, সেরা, ভালো, অগ্রণী, অতুল।
উত্তর ➟ জবাব, প্রতিবাক্য, মীমাংশা, সাড়া, সিদ্ধান্ত।
একতা ➟ ঐক্য, মিলন, একত্ব, অভেদ, সংহতি, ঐক্যবদ্ধ, একাত্মতা, একীভাব।
কপাল ➟ ললাট, ভাল, ভাগ্য, অদৃষ্ট, নিয়তি, অলিক
কোকিল ➟ পরভৃত, পিক, বসন্তদূত
কষ্ট ➟ মেহনত, যন্ত্রনা, ক্লেশ, আয়াস, পরিশ্রম, দু:খ।
কুল ➟ বংশ, গোত্র, জাতি, বর্ণ, গণ, সমূহ, অনেক, যূথ, জাত, শ্রেণী, ইত্যাদি।
খ্যাতি ➟ যশ, প্রসিদ্ধি, সুখ্যাতি, সুনাম, নাম, সুবাদ, প্রখ্যাতি, সুযশ, বিখ্যাতি, নামযশ, নামডাক, প্রখ্যা, প্রচার, হাতযশ, প্রতিপত্তি, প্রতিষ্ঠা।
কন্যা ➟ মেয়ে, দুহিতা, দুলালী, আত্মজা, নন্দিনী, পুত্রী, সূতা, তনয়া
গরু ➟ গো, গাভী, ধেনু
ঘোড়া ➟ অশ্ব, ঘোটক, তুরগ, বাজি, হয়, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম
মেঘ ➟ ঘন, অভ্র, নিবিড়, জলধর, গাঢ়, জমাট, গভীর।
চাঁদ ➟ সুধাকর, শশী, শশধর, দ্বিজরাজ, বিধু, সোম, নিশাপতি, সুধানিধি, রাকেশ, সুধাময়, ইন্দু, তারানাথ।
চতুর ➟ বুদ্ধিমান, নিপুণ, কুশল, ধূর্ত, ঠগ, চালাক, সপ্রতিভ।
ঘর ➟ গৃহ, আলয়, নিবাস, আবাস, আশ্রয়, নিলয়, নিকেতন, ভবন, সদন, বাড়ি, বাটী, বাসস্থান
চক্ষু ➟ চোখ, আঁখি, অক্ষি, লোচন, নেত্র, নয়ন, দর্শনেন্দ্রিয়
চন্দ্র ➟ চাঁদ, চন্দ্রমা, শশী, শশধর, শশাঙ্ক, শুধাংশু, হিমাংশু, সুধাকর, সুধাংশু, হিমাংশু, সোম, বিধু, ইন্দু, নিশাকর, নিশাকান্ত, মৃগাঙ্ক, রজনীকান্ত
চুল ➟ চিকুর, কুন্তল, কেশ, অলক,
জননী ➟ মা, মাতা, প্রসূতি, গর্ভধারিণী, জন্মদাত্রী,
দিন ➟ দিবা, দিবস, দিনমান
দেবতা ➟ অমর, দেব, সুর, ত্রিদশ, অমর, অজর, ঠাকুর
দ্বন্দ্ব ➟ বিরোধ, ঝগড়া, কলহ, বিবাদ, যুদ্ধ
তীর ➟ কূল, তট, পাড়, সৈকত, পুলিন, ধার, কিনারা
নারী ➟ রমণী, কামিনী, মহিলা, স্ত্রী, অবলা, স্ত্রীলোক, অঙ্গনা, ভাসিনী, ললনা, কান্তা, পত্নী, সীমন্তনী
নদী ➟ তটিনী, তরঙ্গিনী, প্রবাহিনী, শৈবালিনী, স্রোতস্বতী, স্রোতস্বিনী, গাঙ, স্বরিৎ, নির্ঝরিনী, কল্লোলিনী
নৌকা ➟ নাও, তরণী, জলযান, তরী
পণ্ডিত ➟ বিদ্বান, জ্ঞানী, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ
পদ্ম ➟ কমল, উৎপল, সরোজ, পঙ্কজ, নলিন, শতদল, রাজীব, কোকনদ, কুবলয়, পুণ্ডরীক, অরবিন্দ, ইন্দীবর, পুষ্কর, তামরস, মৃণাল, সরসিজ, কুমুদ
পৃথিবী ➟ ধরা, ধরিত্রী, ধরণী, অবনী, মেদিনী, পৃ, পৃথ্বী, ভূ, বসুধা, বসুন্ধরা, জাহান, জগৎ, দুনিয়া, ভূবন, বিশ্ব, ভূ-মণ্ডল
পর্বত ➟ শৈল, গিরি, পাহাড়, অচল, অটল, অদ্রি, চূড়া, ভূধর, নগ, শৃঙ্গী, শৃঙ্গধর, মহীধর, মহীন্দ্র
পানি ➟ জল, বারি, সলিল, উদক, অম্বু, নীর, পয়ঃ, তোয়, অপ, জীবন, পানীয়
পুত্র ➟ তনয়, সুত, আত্মজ, ছেলে, নন্দন
পত্নী ➟ জায়া, ভার্যা, ভামিনী, স্ত্রী, অর্ধাঙ্গী, সহধর্মিণী, জীবন সাথী, বউ, দারা, বনিতা, কলত্র, গৃহিণী, গিন্নী
পাখি ➟ পক্ষী, খেচর, বিহগ, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম, পতত্রী, খগ, অণ্ডজ, শকুন্ত, দ্বিজ
ফুল ➟ পুষ্প, কুসুম, প্রসূন, রঙ্গন
বৃক্ষ ➟ গাছ, শাখী, বিটপী, অটবি, দ্রুম, মহীরূহ, তরু, পাদপ
বন ➟ অরণ্য, জঙ্গল,
বাগধারা
কাঁচা সোনা = নিখাদ স্বর্ণ।
মনে ধরা = পছন্দ হওয়া।
রাবণের চিতা =চির অশান্তি।
বালির বাঁধ = অস্থায়ী বস্তু।
গোবর গণেশ =মূর্খ।
তামার বিষ = অর্থের কুপ্রভাব।
গোঁফ খেজুরে = নিতান্ত অলস।
একাদশে বৃহস্পতি = সৌভাগ্যের বিষয়।
কেতাদুরস্ত = পরিপাটি।
আক্কেল সেলামি =নির্বুদ্ধিতার দণ্ড।
কুল কাঠের আগুন = তীব্র জ্বালা।
আড়িপাতা = আড়াল থেকে শোনা।
আমতা আমতা করা = ইতস্তত করা।
অক্ষরে অক্ষরে = সম্পূর্ণভাবে।
বক ধার্মিক =ভণ্ড সাধু।
অক্কা পাওয়া = মারা যাওয়া।
আকাশ কুসুম = অসম্ভব কল্পনা।
অমাবস্যার চাঁদ = দুর্লভ বস্তু।
ব্যাঙের সর্দি = অসম্ভব ঘটনা।
পদ্মপাতায় জল = ক্ষণস্থায়ী।
শাপে বর = অনিষ্টে ইষ্ট লাভ।
হালে পানি পাওয়া = সুবিধা করা।
বাঁ হাতের ব্যাপার = ঘুষ গ্রহণ।
অহি-নকুল = ভীষণ শত্রুতা।
আট কপালে = হতভাগ্য।
উড়নচণ্ডী = অমিতব্যয়ী।
চাঁদের হাট = আনন্দের প্রাচুর্য।
নয়ছয় = অপচয়।
শকুনি মামা =কুচক্রী লোক।
হাত গুটান =কার্যে বিরতি।
উত্তম-মধ্যম = প্রহার।
গড্ডলিকাপ্রবাহ = অন্ধ অনুকরণ।
সাক্ষী গোপাল = নিষ্ক্রিয় দর্শক।
পালের গোদা = দলপতি।
দুধের মাছি = সুসময়ের বন্ধু।
একচোখা = পক্ষপাতদুষ্ট।
কানকাটা = নির্লজ্জ।
কংস মামা = নির্মম আত্মীয়।
কাঁচা হাত = অপটু।
খয়ের খাঁ = তোষামোদকারী।
গুড়ে বালি = আশায় নিরাশ হওয়া।
ঘুঘু চরানো = সর্বনাশ করা।
ঘাটের মড়া = মৃত্যু আসন্ন যার।
চুনোপুঁটি = সামান্য ব্যক্তি।
জিলাপির প্যাঁচ = কূটবুদ্ধি।
জগাখিচুড়ি = বিশৃঙ্খল।
টনক নড়া = সচেতন হওয়া।
টাকার কুমির = অনেক টাকার মালিক।
ঠোঁটকাটা = বেহায়া।
ডুমুরের ফুল = অদৃশ্য বস্তু।
তাসের ঘর = ক্ষণস্থায়ী।
পটল তোলা = মারা যাওয়া।
পুকুর চুরি = বড় ধরনের চুরি।
বসন্তের কোকিল = সুসময়ের বন্ধু।
ভূশণ্ডি কাক = দীর্ঘকালের অভিজ্ঞ ব্যক্তি।
ভিজা বিড়াল = সাধু বেশে অসৎ লোক।
তুষের আগুন = দীর্ঘস্থায়ী ও দুঃসহ যন্ত্রণা।
ঢাকের কাঠি = তোষামোদকারী।
যক্ষের ধন = কৃপণের ধন।
ষোলো কলা = সম্পূর্ণ।
হাল ধরা = দায়িত্ব গ্রহণ।
লেফাফা দুরস্ত = পরিপাটি।
অগাধ জলের মাছ = খুব চালাক।
এলাহি কাণ্ড = বিরাট আয়োজন।
অরণ্যে রোদন = বৃথা আবেদন।
অকালকুষ্মাণ্ড = অপদার্থ।
অন্ধের যষ্টি = একমাত্র সম্বল।
অর্ধচন্দ্র = গলাধাক্কা।
আট কপালে = হতভাগ্য।
উড়ো কথা = গুজব।
কাঁঠালের আমসত্ত্ব = অসম্ভব বস্তু।
কাঁচা-পয়সা = নগদ উপার্জন।
কেউকেটা = সামান্য।
চক্ষু চড়কগাছ = বিস্ময়।
মাথাব্যথা = আগ্রহ।
খণ্ড প্রলয় = ভীষণ ব্যাপার।
গদাই লস্করী চাল = অতি ধীর গতি।
অগ্নিশর্মা = অত্যন্ত রাগান্বিত হওয়া।
আগুন নিয়ে খেলা = ভয়ংকর বিপদ।
কৈ মাছের প্রাণ= যা সহজে মরে না।
গোড়ায় গলদ= শুরুতে ভুল।
গুড়ে বালি= আশায় নৈরাশ্য।
চোখের পর্দা= লজ্জা।
ননীর পুতুল= শ্রমবিমুখ।
নেই আঁকড়া= একগুঁয়ে।
দহরম মহরম= ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
পুকুর চুরি= বড় রকমের চুরি।
মণিকাঞ্চন যোগ= উপযুক্ত মিলন।
মিছরির ছুরি= মুখে মধু অন্তরে বিষ।
হাটে হাঁড়ি ভাঙা= গোপন কথা প্রকাশ করা।
শাঁখের করাত= উভয় সংকট।
গলগ্রহ= পরের বোঝা হয়ে থাকা।
গোঁয়ার গোবিন্দ= নির্বোধ অথচ হঠকারী।
ছিনিমিনি খেলা= নষ্ট করা।
কলুর বলদ= পরিশ্রম করে কিন্তু ফল পায় না।
উনপাঁজুরে= দুর্বল।
উনিশ-বিশ= সামান্য পার্থক্য।
গা ঢাকা দেওয়া= নিজেকে লুকিয়ে রাখা।
পগার পার= পলায়ন করা।
এক কথায় প্রকাশ
অকালে পেকেছে যে- অকালপক্ক্ব
অক্ষির সম্মুখে বর্তমান- প্রত্যক্ষ
অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার- অনভিজ্ঞ
অহংকার নেই যার- নিরহংকার
অশ্বের ডাক- হ্রেষা
অতি কর্মনিপুণ ব্যক্তি- দক্ষ
অনুসন্ধান করবার ইচ্ছা- অনুসন্ধিৎসা
অনুসন্ধান করতে ইচ্ছুক যে- অনুসন্ধিৎসু
অপকার করবার ইচ্ছা- অপচিকীর্ষা
অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে কাজ করে যে- অবিমৃষ্যকারী
অতি শীতও নয়, অতি উষ্ণও নয়- নাতিশীতোষ্ণ
অবশ্য হবে/ঘটবে যা- অবশ্যম্ভাবী
অতি দীর্ঘ নয় যা- নাতিদীর্ঘ
অতিক্রম করা যায় না যা- অনতিক্রমনীয়/অনতিক্রম্য
যা সহজে অতিক্রম করা যায় না- দুরতিক্রমনীয়/দুরতিক্রম্য
অগ্রে জন্মেছে যে- অগ্রজ
অনুতে/পশ্চাতে/পরে জন্মেছে যে- অনুজ
অরিকে দমন করে যে- অরিন্দম
অন্য উপায় নেই যার- অনন্যোপায়
অনেকের মাঝে একজন- অন্যতম
অন্য গাছের ওপর জন্মে যে গাছ- পরগাছা
আচারে নিষ্ঠা আছে যার- আচারনিষ্ঠ
আপনাকে কেন্দ্র করে চিন্তা যার- আত্মকেন্দ্রীক
আকাশে চরে যে- খেচর
আকাশে গমন করে যে- বিহগ, বিহঙ্গ
আট প্রহর যা পরা যায়- আটপৌরে
আপনার রং লুকায় যে/যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না- বর্ণচোরা
আয় অনুসারে ব্যয় করে যে- মিতব্যয়ী
আপনাকে পণ্ডিত মনে করে যে- পণ্ডিতম্মন্য
আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত- আদ্যন্ত
ইতিহাস রচনা করেন যিনি- ঐতিহাসিক
ইতিহাস বিষয়ে অভিঞ্জ যিনি- ইতিহাসবেত্তা
ইন্দ্রকে জয় করেছে যে- ইন্দ্রজিৎ
ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে- জিতেন্দ্রিয়ি
ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার- আস্তিক
ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার- নাস্তিক
ঈষৎ আমিষ/আঁষ গন্ধ যার- আঁষটে
উপকার করবার ইচ্ছা- উপচিকীর্ষা
উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে- কৃতজ্ঞ
উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে- অকৃতজ্ঞ
উপকারীর অপকার করে যে- কৃতঘ্ন
একই সময়ে বর্তমান- সমসাময়িক
একই মায়ের সন্তান- সহোদর
এক থেকে আরম্ভ করে- একাদিক্রমে
একই গুরুর শিষ্য- সতীর্থ
কথায় বর্ণনা যায় না যা- অনির্বচনীয়
কোনভাবেই নিবারণ করা যায় না যা- অনিবার্য
সহজে নিবারণ করা যায় না যা/কষ্টে নিবারণ করা যায় যা- দুর্নিবার
সহজে লাভ করা যায় না যা/কষ্টে লাভ করা যায় যা- দুর্লভ
কোন কিছুতেই ভয় নেই যার- নির্ভীক, অকুতোভয়
ক্ষমার যোগ্য- ক্ষমার্হ
কউ জানতে না পারে এমনভাবে- অজ্ঞাতসারে
গোপন করার ইচ্ছা- জুগুপ্সা
চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত- চাক্ষুষ
চৈত্র মাসের ফসল- চৈতালি
জীবিত থেকেও যে মৃত- জীবন্মৃত
জানার ইচ্ছা- জিজ্ঞাসা
জানতে ইচ্ছুক- জিজ্ঞাসু
জ্বল জ্বল করছে যা- জাজ্বল্যমান
জয় করার ইচ্ছা- জিগীষা
জয় করতে ইচ্ছুক- জিগীষু
জানু পর্যন্ত লম্বিত- আজানুলম্বিত
তল স্পর্শ করা যায় না যার- অতলস্পর্শী
তীর ছোঁড়ে যে- তীরন্দাজ
দিনে যে একবার আহার করে- একাহারী
দীপ্তি পাচ্ছে যা- দীপ্যমান
দু’বার জন্মে যে- দ্বিজ
নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার- নশ্বর
নদী মেখলা যে দেশের- নদীমেখলা
নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে যে- নাবিক
নিজেকে যে বড়ো মনে করে- হামবড়া
নূপুরের ধ্বনি- নিক্কণ
পা থেকে মাথা পর্যন্ত- আপাদমস্তক
প্রিয় বাক্য বলে যে নারী- প্রিয়ংবদা
পূর্বজন্ম স্মরণ করে যে- জাতিস্মর
পান করার যোগ্য- পেয়
পান করার ইচ্ছা- পিপাসা
ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়- ওষধি
বিদেশে থাকে যে- প্রবাসী
বিশ্বজনের হিতকর- বিশ্বজনীন
ব্যাকরণ জানেন যিনি- বৈয়াকরণ
বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে গবেষণায় রত যিনি- বৈজ্ঞানিক
বেদ-বেদান্ত জানেন যিনি- বৈদান্তিক
বয়সে সবচেয়ে বড়ো যে- জ্যেষ্ঠ
বয়সে সবচেয়ে ছোটো যে- কনিষ্ঠ
ভোজন করার ইচ্ছা- বুভুক্ষা
মৃতের মত অবস্থা যার- মুমূর্ষু
মুষ্টি দিয়ে যা পরিমাপ করা যায়- মুষ্টিমেয়
মৃত্তিকা দ্বারা নির্মিত- মৃন্ময়
মর্মকে পীড়া দেয় যা- মর্মন্তুদ
মাটি ভেদ করে ওঠে যা- উদ্ভিদ
মৃত গবাদি পশু ফেলা হয় যেখানে- ভাগাড়
মন হরণ করে যা- মনোহর
মন হরণ করে যে নারী- মনোহারিণী
যা দমন করা যায় না- অদম্য
যা দমন করা কষ্টকর- দুর্দমনীয়
যা নিবারণ করা কষ্টকর- দুর্নিবার
যা পূর্বে ছিল এখন নেই- ভূতপূর্ব
যা বালকের মধ্যেই সুলভ- বালকসুলভ
যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে- অযত্নলব্ধ
যা ঘুমিয়ে আছে- সুপ্ত
যা বার বার দুলছে- দোদুল্যমান
যা দীপ্তি পাচ্ছে- দেদীপ্যমান
যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না- অনন্যসাধারণ
যা পূর্বে দেখা যায় নি- অদৃষ্টপূর্ব
যা কষ্টে জয় করা যায়- দুর্জয়
যা কষ্টে লাভ করা যায়- দুর্লভ
যা অধ্যয়ন করা হয়েছে- অধীত
যা অনেক কষ্টে অধ্যয়ন করা যায়- দুরধ্যয়
যা জলে চরে- জলচর
যা স্থলে চরে- স্থলচর
যা জলে ও স্থলে চরে- উভচর
যা বলা হয় নি- অনুক্ত
যা কখনো নষ্ট হয় না- অবিনশ্বর
যা মর্ম স্পর্শ করে- মর্মস্পর্শী
যা বলার যোগ্য নয়- অকথ্য
যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না- অজ্ঞাতকুলশীল
যা চিন্তা করা যায় না- অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য
যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু- বন্ধুর
যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয়- ব্যয়বহুল
যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয়- নাতিশীতোষ্ণ
যার বিশেষ খ্যাতি আছে- বিখ্যাত
যা আঘাত পায় নি- অনাহত
যা উদিত হচ্ছে- উদীয়মান
যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে- বর্ধিষ্ণু
যা পূর্বে শোনা যায় নি- অশ্রুতপূর্ব
যা সহজে ভাঙ্গে- ভঙ্গুর
যা সহজে জীর্ণ হয়- সুপাচ্য
যা খাওয়ার যোগ্য- খাদ্য
যা চিবিয়ে/চর্বণ করে খেতে হয়- চর্ব্য
যা চুষে খেতে হয়- চোষ্য
যা লেহন করে খেতে হয়/লেহন করার যোগ্য- লেহ্য
যা পান করতে হয়/পান করার যোগ্য- পেয়
যা পানের অযোগ্য- অপেয়
যা বপন করা হয়েছে- উপ্ত
যা বলা হয়েছে- উক্ত
যার অন্য উপায় নেই- অনন্যোপায়
যার কোন উপায় নেই- নিরুপায়
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে- প্রত্যুৎপন্নমতি
যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে- সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব
যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই- অকুতোভয়
যার আকার কুৎসিত- কদাকার
যার কোন শত্রু নেই/জন্মেনি- অজাতশত্রু
যার দাড়ি/শ্মশ্রু জন্মে নি- অজাতশ্মশ্রু
যার কিছু নেই- অকিঞ্চন
যে কোন বিষয়ে স্পৃহা হারিয়েছে- বীতস্পৃহ
যে শুনেই মনে রাখতে পারে- শ্রুতিধর
যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে- উদ্বাস্তু
যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয়- স্বয়ংবরা
যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না- বনস্পতি
যে রোগ নির্ণয় করতে হাতড়ে মরে- হাতুড়ে
যে নারীর সন্তান বাঁচে না/যে নারী মৃত সন্তান প্রসব করে- মৃতবৎসা
যে গাছ অন্য কোন কাজে লাগে না- আগাছা
যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে- পরগাছা
যে পুরুষ বিয়ে করেছে- কৃতদার
যে মেয়ের বিয়ে হয়নি- অনূঢ়া
যে ক্রমাগত রোদন করছে- রোরুদ্যমান (স্ত্রীলিঙ্গ- রোরুদ্যমানা)
যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না- অপরিণামদর্শী
যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে/অগ্র পশ্চাত বিবেচনা না করে কাজ করে যে- অবিমৃশ্যকারী
যে বিষয়ে কোন বিতর্ক/বিসংবাদ নেই- অবিসংবাদী
যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ- শ্বাপদসংকুল
যিনি বক্তৃতা দানে পটু- বাগ্মী
যে সকল অত্যাচারই সয়ে যায়- সর্বংসহা
যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে- বীরপ্রসূ
যে নারীর কোন সন্তান হয় না- বন্ধ্যা
যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে- কাকবন্ধ্যা
যে নারীর স্বামী প্রবাসে আছে- প্রোষিতভর্তৃকা
যে স্বামীর স্ত্রী প্রবাসে আছে- প্রোষিতপত্নীক
যে পুরুষের চেহারা দেখতে সুন্দর- সুদর্শন (স্ত্রীলিঙ্গ- সুদর্শনা)
যে রব শুনে এসেছে- রবাহুত
যে লাফিয়ে চলে- প্লবগ
যে নারী কখনো সূর্য দেখেনি- অসূর্যম্পশ্যা
যে নারীর স্বামী মারা গেছে- বিধবা
যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে- নবোঢ়া
লাভ করার ইচ্ছা- লিপ্সা
শুভ ক্ষণে জন্ম যার- ক্ষণজন্মা
শত্রুকে/অরিকে দমন করে যে- অরিন্দম
শত্রুকে বধ করে যে- শত্রুঘ্ন
সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা- প্রত্যুদ্গমন
সকলের জন্য প্রযোজ্য- সর্বজনীন
সকলের জন্য হিতকর- সার্বজনীন
স্ত্রীর বশীভূত হয় যে- স্ত্রৈণ
সেবা করার ইচ্ছা- শুশ্রুষা
হনন/হত্যা করার ইচ্ছা- জিঘাংসা
হরিণের চামড়া- অজিন
হাতির ডাক- বৃংহতি
ণ – ত্ব বিধান
১। ঋ, র, ষ—এই তিনটি বর্ণের পর তৎসম শব্দের দন্ত্য ‘ন’ মূধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন: ঋণ, ঘৃণা, রণ, বর্ণ, ভূষণ ইত্যাদি।
২। ঋ, র, ষ-এর পর স্বরবর্ণ, ক-বর্গ, প-বর্গ, ষ, হ অথবা ং (অনুস্বার) থাকলে তার পরবর্তী দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন: লক্ষণ, ভক্ষণ, রেণু, পাষাণ, নির্বাণ, দর্পণ, গ্রহণ ইত্যাদি।
৩। ট বর্গের পূর্বে দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়। যেমন: বণ্টন, লুণ্ঠন, খণ্ড ইত্যাদি।
৪। প্র, পরা, পরি, নির—এই চারটি উপসর্গের পরবর্তী দন্ত্য ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হবে। যেমন: প্রণাম, প্রমাণ, পরায়ণ, পরিণতি, নির্ণয় ইত্যাদি।
৫। ত, থ, দ, ধ-এর পূর্বে সংযুক্ত বর্ণে দন্ত্য ‘ন’ হয়, ‘ণ’ হয় না। যেমন: দৃষ্টান্ত, বৃন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন, বন্ধন ইত্যাদি।
কতগুলো শব্দে স্বভাবতই ণ হয় (নিত্য মুর্ধন্য-ণ)
চাণক্য, মাণিক্য, গণ, বাণিজ্য, লবণ, মণ
বেণু, বীণা, কঙ্কণ, কণিকা, কল্যাণ, শোণিত,
মণি, স্থাণু, গুণ, পুণ্য, বেণী, ফণী, অণু,
বিপণি, গণিকা, আপণ, লাবণ্য, বাণী, নিপুণ,
ভণিতা, পাণি, গৌণ, কোণ, ভাণ, পণ, শাণ,
চিক্কণ, নিক্কণ, তূণ, কফোণি, বণিক, গুণ,
গণনা, পিণাক, পণ্য, বাণ।
কোথায় ণত্ব বিধান খাটে না?
যে ক্ষেত্রগুলোতে ণ-তত্ত্ব বিধানের নিয়মাবলি খাটে নাঃ
- ত-বর্গের (ত, থ, দ, ধ) ধ্বনির সাথে দন্ত্য-ন হয়। যেমন: বৃন্ত, বৃন্দ, গ্রন্থ ইত্যাদি।
- বাংলা ক্রিয়াপদের অন্তঃস্থিত দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয় না। যেমন: ধরেন, মারেন, করেন, যাবেন, খাবেন, হবেন, নিবেন, দিবেন ইত্যাদি।
- বিদেশী শব্দে দন্ত্য-ন হয়। যেমন: কোরআন, জার্মান, জবান, নিশান, ফরমান, রিপন ইত্যাদি।
- পূর্বপদে ঋ, র, ষ থাকলে পরপদে মূর্ধন্য-ণ হয় না। যেমন: মৃগনাভি, দুর্নাম,দর্শন, ত্রিনেত্র, মৃন্ময়।
- সমাসবদ্ধ শব্দে ণ-ত্ব বিধান খাটে না। যেমন: ত্রিনয়ন, দুর্নীতি, দুর্নিবার, মহানবী, মনমাঝি, দুর্নাম, বিপদাপন্ন, মধুসূদন, সর্বনাম ইত্যাদি।
ষ – ত্ব বিধান
১. অ, আ ভিন্ন অন্য স্বরধ্বনি এবং ক-র এর পর ষ-এর প্রয়োগ হলে তা অবিকৃত থাকে। যেমন: ভীষণ, বিমর্ষ, জিগীষা ইত্যাদি।
২. ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গের পর কতগুলো ধাতুতে ‘ষ’ হয়। যেমন: অভিষেক, অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
৩. ঋ-কার ও র-এর পর ‘ষ’ হয়। যেমন: বৃষ, কৃষ্টি ইত্যাদি।
৪. ট ও ঠ-এর আগে মূর্ধন্য ‘ষ’ হয়। যেমন: পুষ্টি, সৃষ্টি।
৫. নিঃ, দুঃ, বহিঃ, আবিঃ, চতুঃ প্রাদুঃ—এ শব্দগুলোর পর ক, খ, প, ফ থাকলে বিসর্গ-এর স্থানে ‘ষ’ হয়। যেমন: নিষ্ফল, নিষ্কাম, বহিষ্কার ইত্যাদি।
কিছু শব্দ স্বভাবতই মূর্ধন্য-ষ হয় । যেমন: আষাঢ়, নিষ্কর, পাষাণ, ষোড়শ ইত্যাদি।
কতগুলো শব্দ বিশেষ নিয়মে মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন: আষাঢ়, ষোড়শ, আভাষ, অভিলাস, পোষণ, পাষাণ, তোষণ, শোষণ, বিষাণ, সুষুপ্তি, বিষম, বিষয়, দুর্বিষহ, যুধিষ্ঠির ইত্যাদি।
কোথায় ষত্ব বিধান নিষেধ বা খাটে না?
সাৎ প্রত্যয়ের দন্ত্য-স মূর্ধন্য-ষ হয় না। যেমন-
ভূমিসাৎ, ধূলিসাৎ, আকস্মাৎ।
খাঁটি বাংলা ও বিদেশী শব্দে মূর্ধন্য-ষ হয় না। যেমন-
টেক্স, পুলিশ, জিনিস, মিসর, গ্রিস, স্টেশন, মুসাবিদা।
অঃ বা আঃ থাকলে তার পরে ক্, খ্, প্, ফ্ সন্ধিযুক্ত হলে বিসর্গ (ঃ) এর জায়গায় দন্ত্য-স হয়। যেমন-
পুরঃ + কার = পুরস্কার, ভাঃ + কর = ভাস্কর, তিরঃ + কার = তিরস্কার, পরঃ+ পর= পরস্পর, স্বতঃ + ফূর্ত= স্বতঃস্ফূর্ত
অঃ বা আঃ থাকলে তার পরে ক্, খ্, প্, ফ্ ছাড়াও ত থাকলেও স হতে পারে। যেমন-
মনঃ+ তাপ = মনস্তাপ, শিরঃ + ত্রাণ= শিরস্ত্রাণ।